মালয়েশিয়াতে কলিং ভিসায় গিয়ে হাজার হাজার প্রবাসী কর্মী হয়ত কাজ পাচ্ছেন না, কিংবা কাজ পেলেও ভালো বেতন পাচ্ছেন না, কিংবা মালিক বা ফরম্যান বকাঝকা কিংবা চর থাপ্পড় দেয়। এরকম অবস্থায় অনেকে কর্মস্থল থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। কর্মস্থল থেকে পালালে সুবিধার চেয়ে আপনার বিপদ আরো অনেক বেশি হবে। #উদাহরণ_স্বরুপ: মালয়েশিয়া প্রবাসী বিল্লাল হোসেন কলিং ভিসায় গিয়ে গত কয়েকমাস ধরে কোম্পানিতে কাজ করছিল ও বেতন পাচ্ছিল। সমস্যা ছিলো বেতন খুব বেশি নয় ও ফরম্যান বকাঝকা কিংবা চর থাপ্পড় দিত। যার কারণে সে কর্মস্থল থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। পালিয়ে গিয়ে গত প্রায় ১মাস যাবত বিভিন্ন জায়গায় কাজ খুজলে কোন জায়গায় তার কাজ মিলে নাই। বরং তার পাসপোর্ট মালিকের কাছে থাকায় সে মহা বিপদে পড়েছিল। কাজ ও থাকার জায়গাটাও ছিলো না। যার ফলশ্রুতিতে পুনরায় তার পূর্বের কাজের স্থলে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না। কিন্তু সে পূর্বের কাজের স্থলে যেতেও ভয় পাচ্ছিল, যদি মালিকপক্ষ পুলিশে দেয় বা দেশে পাঠিয়ে দেয়। অবশেষে, বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ, মালয়েশিয়া শাখার সভাপতি জাহিদ হাসান ও সহ সভাপতি ফয়াসল শেখ এর সার্বিক সহযোগিতায় বিল্লাল হোসেনের কর্মস্থলে মালিক ও ফরম্যানকে বুঝিয়ে তাকে পৌঁছিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের পক্ষ থেকে জাহিদ হাসান ও ফয়সাল শেখের প্রতি রইলো আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। #কাজ পাচ্ছেন না, কিংবা কাজ পেলেও ভালো বেতন পাচ্ছেন না, কিংবা মালিক বা ফরম্যান বকাঝকা কিংবা চর থাপ্পড় দেয় এরকম অবস্থায় তাহলে করনীয় কি? #করণীয় হচ্ছে: মালয়েশিয়া সরকারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের রুলস অনুযায়ী বৈধ কর্মীকে মালিকপক্ষ অবশ্যই কাজ ও বেতন দিতে বাধ্য ও কর্মীকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নিগৃহীত করতেও পারবে না মালিকপক্ষ। কর্মস্থলে কোন সমস্যা হলে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতা নিন অথবা মালয়েশিয়ার প্রশাসনের সহযোগিতা নিন। কোনভাবেই বৈধ ভিসা, পাসপোর্ট ও কাজের পারমিট থাকতে কর্মস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করবেন না। #সচেতনতায়: বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ