ইমো’র প্রতারণা থেকে বাঁচতে সচেতনতা

ইমো’র প্রতারণা থেকে বাঁচতে সচেতনতা

আমিরাত প্রবাসী রুনি আক্তারকে উপহার বিজয়ের কথা জানিয়ে ইমো’তে কোড পাঠানোর কথা বলেছিল প্রতারক চক্র। তবে প্রতারণার বিষয়ে সর্তক থাকায় তাদের কোনও কোড দেননি রুনি।

তিনি বলেন, এসব বিষয়ে আমি আগে থেকেই খবরে দেখেছি। তাই কেউ কোনও কোড-পিন নম্বর চাইলে আমি দেই না। কাতার প্রবাসী ইয়াসিন আরাফাত বলেন, প্রবাসীরা ইমো বেশি ব্যবহার করেন, এ কারণে প্রতারকদের টার্গেট ইমো ব্যবহারকারীদের ওপর। বিভিন্ন সময়ে নানান লোভ দেখিয়ে আমার কাছ থেকে পিন কোড চেয়েছিল প্রতারক চক্র। তবে আমি সতর্ক ছিলাম, তাদের কোনও কোড দেইনি, নিজেও নিরাপদ আছি।

সচেতনতার বিকল্প নেই

সাইবার ক্রাইম নিয়ে কাজ করেন আইটি এক্সপার্ট তানভীর হাসান জোহা৷ তিনি বলেন, ‘‘অনলাইন প্রতারণা থেকে বাঁচতে হলে আমাদের সতর্ক হতে হবে৷ লোভ সামলাতে হবে৷ অনলাইনে কারো সঙ্গে পরিচয় হলে সাবধান থাকতে হবে৷ বিনিয়োগ করা বা দামি উপহার পাওয়ার আশায় কাস্টমস ডিউটির নামে লাখ লাখ টাকা দেয়ার আগে যাচাই করতে হবে৷’’

তিনি বলেন, ‘‘ভূমি নিয়ে, ফ্ল্যাট নিয়ে প্রতারণা ধরা এখন সহজ হয়েছে৷ কারণ ভ‚মি ব্যবস্থাপনা এখন ডিজিটাল৷ অন্যান্য ক্ষেত্রে একটু দক্ষতা এবং ডিজিটাল জ্ঞান থাকলে অনলাইনেই অনেক কিছু চেক করা সম্ভব৷ যেমন, একটি ফেসবুক আইডি বিশ্লেষণ করলেই অনেক তথ্য পাওয়া যায় এবং বোঝা যায়৷’’

তার কথা, ‘‘পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট অনেক আধুনিক হয়েছে৷ কিন্তু প্রতারকরা আরো এগিয়ে৷ আর প্রতারিত হলে অভিযোগ করতে হবে৷ প্রতারিত হওয়ার আগেও কোনো অফার বা প্রস্তাবের বিষয় ওই ইউনিটের পরামর্শ নেয়া যায়৷’’

আর মশিউর রহমান বলেন, ‘‘আমরা তো আইনি সহায়তার জন্য আছি৷ কিন্তু একটু সচেতনতা অনেক কাজে আসে অনলাইন প্রতারণা থেকে বাঁচতে৷ সচেতন হলে আমরা অনলাইনে ইজ্জতহানি, মানহানি ও অর্থ খোয়ানো থেকে বাঁচতে পারি৷’’

সাইবার নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোনোভাবেই মোবাইলের কোন অ্যাপ, ব্যাংকের পিন নম্বর, ব্যাংক কার্ডের পিন নম্বর অন্যকে দেওয়া যাবে না। যতই উপহারের কথা বলা হোক না কেন, মনে রাখতে হবে এসব প্রতারণার ফাঁদ।

 

আপনি কি বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের সদস্য হতে চান?